চূড়ান্ত ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কিছু সফল মানুষের গল্প ২০২১ The story of successful people who turned from ultimate failure 2021


The story of successful people who turned from ultimate failure 2020 2021

 আলবার্ট আইনস্টাইন

পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত ও সফল বিজ্ঞানীদের একজন আলবার্ট আইনস্টাইন। বিজ্ঞান শব্দটা মাথায় আসলেই বেশিরভাগ মানুষ তাঁর কথা ভাবেন। পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম মেধাবী বলা হয় তাঁকে।  কিন্তু ১৮৭৯ সালে জন্ম নেয়া এই জার্মান জিনিয়াসকে একটা সময় পর্যন্ত গর্ধভ মনে করা হত। কিন্তু আপনি ভাবলেই অবাক হবেন এই বিখ্যাত মানুষটির কথা বলা শিখতেই ৪ বছর লেগেছিলো।১৬ বছর বয়সে সুইস ফেডারেল পলিটেকনিক স্কুলের ভর্তি পরীক্ষায় শোচনীয় ভাবে ফেল করেন।
ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময়ে প্রতিটি বিষয়ে তিনি এতই বাজে রেজাল্ট করতেন যে, একাধিক বার পড়াশুনা বাদ দেয়ার চিন্তা করতে হয়েছিল।
কোনও কাজ না পেয়ে তিনি বাধ্য হয়ে ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে সেলস ম্যানের কাজ নেন।
কিন্তু একটা সময়ে এই মানুষটাই পৃথিবীর চেহারা পাল্টে দিয়েছেন।  তাঁর সেই ‘গর্দভ ব্রেন’ নিয়ে তিনি পদার্থ বিজ্ঞানের বেশ কয়েকটি মূল সূত্র সৃষ্টি করে গেছেন।  বিজ্ঞানে অবদানের জন্য নোবেল পুরুষ্কার পেয়েছেন।


Albert Einstein

Albert Einstein is one of the most famous and successful scientists in the history of the world. The word science really comes to mind when most people think of him. He is called one of the most brilliant in the history of the world. But the German genius, born in 189, was considered an asshole for a time. But you would be surprised to think that it took 4 years to learn to speak of this famous man.
While studying at the university, he had such bad results in every subject that he had to think of dropping out more than once.
Unable to find a job, he was forced to work as a salesman for an insurance company.
But at one point this man changed the face of the world. With his 'ass brain', he has created several basic formulas in physics. Received the Nobel Prize for his contribution to science.

The story of successful people who turned from ultimate failure 2020

আব্রাহাম লিংকন

১৮০৯ সালে জন্ম নেয়া এই মানুষটি আমেরিকার ১৬তম প্রেসিডেন্ট।  আমেরিকার সর্বকালের সেরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে ধরা হয় তাঁকে।  আমেরিকায় দাসদের স্বাধীনতা লাভের পেছনে তাঁর অবদানই সবচেয়ে বেশি।  রাজনীতি ও খ্যাতির দিক দিয়ে তিনি নি:সন্দেহে পৃথিবীর ইতিহাসের সফলতম মানুষদের একজন।  কিন্তু তাঁর শুরুটা কিন্তু ব্যর্থতার গল্প দিয়েই।  

২৩ বছর বয়সে তাঁর চাকরি চলে যায়। সেই সময়ে তিনি তাঁর প্রথম নির্বাচনেও হারেন।  ২৯ বছর বয়সে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ এর সদস্য হওয়ার জন্য নির্বাচন করে হারেন।

১৮৪৮ সালে, ৩৯ বছর বয়সী লিংকন ওয়াশিংটনের জেনারেল ল্যান্ড অফিসের কমিশনার হওয়ার জন্য নির্বাচন করে পরাজিত হন।  ৪৯ বছর বয়সে সিনেটর হওয়ার জন্য নির্বাচনে দাঁড়িয়ে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হন।  এত ব্যর্থতার পরও তিনি রাজনীতি না ছেড়ে চেষ্টা করে যান।  অবশেষে ১৮৬১ সালে, ৫২ বছর বয়সে তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।  প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগের প্রায় পুরোটাই ছিল ব্যর্থতার গল্প।  কিন্তু এরপর তিনি ইতিহাস বদলে দেন।


জ্যাক মা

চীনের ব্যবসায়ী, আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা সারা পৃথিবীর ব্যবসায়ী ও উদ্যাক্তাদের কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম, আদর্শের নাম। প্রশ্ন হলো জ্যাক মা কি রাতারাতি সফল হয়েছেন? না, রাতারাতি সফল হননি। তাঁর সফলতার পেছনে রয়েছে ব্যর্থতার করুণ কাহিনী। তিনি বার বার ব্যর্থতায় পর্যবেশিত হয়েছেন কিন্তু কখনো ভেঙ্গে পড়েননি, সফলতার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে হেঁটে গিয়েছেন দুর্গম পথে। চীনের জাতীয় কলেজে ভর্তির জন্য উত্তীর্ণ হতে সময় লেগেছে তিন বছর। যেখানে বছরে মাত্র একবার সুযোগ দেয়া হয়, সেখানে জ্যাক মার লেগেছে তৃতীয় চান্স। হাভার্ডে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন দশবার কিন্তু প্রতিবারই তাকে প্রত্যাখাত হতে হয়েছে।প্রায় ত্রিশটি কোম্পানিতে আবেদন করেও কোন সুফল আসেনি। বরাবরের মত প্রত্যাখাত হতে হয়েছে। পুলিশের চাকুরীতে আবেদন করেও ব্যর্থ হয়েছেন এমনকি তার শহরে কেএফসি চালু হলে সেখানেও আবেদন করে ব্যর্থ হয়েছেন। আলিবাবার সফলতার আগে আরো দুটো উদ্যেগে খুব খারাপ ভাবে ব্যর্থ হন। তবুও তিনি হাল ছাড়েননি। সফলতার স্বপ্ন দেখেছেন দিনের পর দিন। তাইতো আলিবাবা বর্তমানে বিজনেস টু বিজনেস, বিজনেস টু কাস্টমার, কাস্টমার টু কাস্টমার সার্ভিস দেয়া কয়েকশত বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।

বিল গেটস

মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে কে না চেনে? তিনি একাধারে তেরো বছর ধরে পৃথিবীর সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি ছিলেন। পড়াশোনার পাঠ শেষ করতে না পারা বিল গেটস কিভাবে শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যাক্তিতে রূপান্তরিত হয় তা নিশ্চয় ভাববার বিষয়। হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে তিনি শুরু করেন ব্যবসা। তবে সফল হতে পারেননি প্রথম ব্যবসা “ট্রাফ ও ডাটাতে”। তাতে ভেঙ্গে পড়েননি তিনি বরং আরো দ্বিগুণ উতসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে শুরু করে মাইক্রোসফট নামে নতুন প্রতিষ্ঠান। মাইক্রোসফট শুরু করার পর থেকে তাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। আজ বিশ্বের সাবচাইতে প্রতিষ্ঠিত মানুষটি প্রমাণ করে  গেছেন শুধু পড়াশোনাই আমাদের সফল মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনা। আমাদের পরিশ্রম ও কর্মদক্ষতা মানুষের জীবনে আমূল পরিবর্তন আনে। বিল গেটস একবার বলেছিলেন, “ আমি কোনো বিষয়েই ভালো রেজাল্ট করতাম না, কখনোই সেরা ছিলাম না কিন্তু আজ আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রিলিয়ান্ট ছাত্ররা যে কোম্পানীর বড় বড় ইঞ্জিনিয়ার আমি সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক”

Bill Gates

Who doesn't know Bill Gates, the founder of Microsoft? He was the richest man in the world for thirteen years at a time. How Bill Gates, who could not finish his studies, became the richest man in the world is a matter of concern. He left Harvard University and started a business. However, the first business "Traff and Data" could not succeed. He did not break down, but started a new organization called Microsoft with more enthusiasm and enthusiasm.
He hasn't had to look back since he started Microsoft. Today, the most established man in the world has proved that education alone cannot establish us as successful people. Our hard work and efficiency brings a radical change in people's lives. Bill Gates once said, "I did not do well in any subject, I was never the best, but today I am the owner of the company where the great students of my university are the great engineers."


জে কে রাউলিং

জে কে রাউলিং এর জীবনী আমাদের শেখায় নিজের প্রতিভা কিংবা সৃষ্টির প্রতি আস্থা এবং অগাধ বিশ্বাস কিভাবে একটি সাধারন মানুষকে বিশ্বের সবচাইতে ধনী লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। প্রথমবার তিনি যখন ‘হ্যারি পটারের’ পান্ডুলিপি নিয়ে একটি প্রকাশনীতে যান প্রকাশনীর মালিক তো হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিল সৃষ্টিকর্মকে। কারোর কথায় কান না দিয়ে নিজের উপর বিশ্বাস অটুট রেখে বিভিন্ন পাবলিশার্স এর দ্বারে দ্বারে পাণ্ডুলিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন বার বার। কিন্তু ১৩ জন প্রকাশ তার লেখাকে তুচ্ছ করে ফিরিয়ে দিয়েছেন তাকে। তারপরেও থেমে যায়নি হ্যারিপটারের মা “জে কে রাউলিং”। পুনরায় নব উদ্যমে কাজ করে গেছেন বলেই হ্যারি পটার সিরিজ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে সাহিত্য জগতের সর্বোচ্চ আসন থেকে কেউ তাকে সরাতে পারেনি। ১৯৯৭ সালে বই প্রকাশের সাথে সাথেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছে যান তিনি। সারা পৃথিবীব্যাপি বইটির মিলিয়ন মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে। হ্যারি পটার সিরিজ শুধু বই হিসেবেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, তা নিয়ে চলচিত্র নির্মাণ হয়েছে। শুধু নিজের সৃষ্টির প্রতি অগাধ বিশ্বাস এবং হাল না ছাড়ার মানসিকতা জে কে রাউলিংকে করেছেন বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এবং  আমাদের উপহার দিয়েছেন হ্যারিপটারের মতন একটি চরিত্র।

JK Rowling's

JK Rowling's biography teaches us how to establish a common man as the richest writer in the world with confidence in his own talent or creation. The first time he went to a publication with a manuscript of Harry Potter, the owner of the publication laughed and blew away the work. Harry Potter's mother, JK Rowling, did not stop there. No one has been able to remove him from the highest position in the literary world since the Harry Potter series was published, as he has been working on new ventures again. With the publication of the book in 1997, he reached the peak of his popularity. The book has sold millions of copies worldwide. The Harry Potter series is not just a book, it is a movie. JK Rowling is one of the richest people in the world who has a deep faith in his own creation and never gives up. And gave us a character like Harry Potter.

The story of successful people who turned from ultimate failure ‍Story Of success, How to be a successful person

মাইকেল জর্ডান

বাস্কেট বল চেনে অথচ মাইকেল জর্ডানকে সবাই চেনেন না এমন একজনকেও খুজে পাওয়া যাবে না।  সর্বকালের সেরা বাস্কেটবল খেলোয়াড় তিনি।  বাস্কেটবল খেলা কোটি কোটি তরুণ স্বপ্ন দেখেন মাইকেল জর্ডান হয়ে ওঠার। মাইকেল জর্ডান স্বপ্ন দেখতেন অনেক বড় বাস্কেটবল খেলোয়াড় হবেন।  কিন্তু ১৫ বছর বয়সে  হাইস্কুল টিমে জায়গা পাওয়ায় তার সে স্বপ্ন ম্লান হয়ে আসে।  নোটিশ বোর্ডে যখন টিমের সদস্যদের নাম টাঙানো হয়, তিনি দেখেন সেখানে তাঁর নাম নেই।  তাঁকে বলা হয়, টিমে খেলার জন্য তিনি যথেষ্ঠ প্রতিভাবান নন।  চিন্তা করেন যে বাস্কেটবলই আর খেলবেন না।  কিন্তু তাঁর মা তাঁকে আরও ভালো করে প্রাকটিস করতে বলেন।  প্রাকটিসে যদি ক্লান্ত লাগে, তাহলে যেন তিনি সেই নোটিশ বোর্ডটি কল্পনা করেন – যেখানে তাঁর নাম ছিল না।
এরপর জর্ডান দিন রাত নিজে নিজে প্রাকটিস করা শুরু করেন।  এবং ‘প্রতিভাহীন’ জর্ডান ২১ বছর বয়সে এনবিএ লিগে সুযোগ পান।  এরপর  তাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি আর।

Michael Jordan

Not everyone who knows basketball but Michael Jordan can be found. He is the best basketball player of all time. Millions of young people who play basketball dream of becoming Michael Jordan. Michael Jordan dreamed of becoming a great basketball player. But when he got a place in the high school team at the age of 15, his dream faded. When the names of the team members are hung on the notice board, he sees that his name is not there.
He was told that he was not talented enough to play in the team. Think you won't play basketball anymore. But his mother told him to practice better. If he feels tired in practice, let him imagine the notice board - where his name was not.
Jordan then began to practice on his own day and night. And the 'untrained' Jordan got a chance in the NBA league at the age of 21. Then he did not have to look back.

Comments